নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় এক পত্রিকার প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন (২৮) এর ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৫ জুন) রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সাব্বির হোসেন বাইসাইকেলে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে কিশোরগঞ্জ-বিন্নারপাড়া সড়কের বালার হাট এলাকায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা প্রথমে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে, পরে রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এছাড়াও তার কাছে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
হামলার সময় সাংবাদিক সাব্বিরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজেই বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় মারধর, ছিনতাই ও শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার গদা উচাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২), শাহিন ইসলাম (২৬), শামিম ইসলাম (২৩) এবং মৃত আতাউর রহমানের ছেলে জাকারিয়া হোসেন (৪০)। তারা সকলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাংবাদিক সাব্বির ইসলাম বলেন, “আমি একজন পেশাদার সংবাদকর্মী। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে আমার ওপর এই বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে, নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ইসলাম শেখ এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, “এজাহার দায়ের হলেও এখনও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার না করা হলে আমরা মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”