ডোমার উপজেলা পরিষদে কুকুরের দখল, আতঙ্কে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতারা

✒️ নিজস্ব প্রতিবেদক:

by Newsroom

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিদিন সকালে ৮-১০টি কুকুরের অবাধ বিচরণ ও বসবাসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবাগ্রহীতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসব কুকুর কখনো ঘুমিয়ে থাকে উপজেলা পরিষদ ভবনের ভেতরে, কখনো ঘোরাঘুরি করে বিভিন্ন দপ্তরে ঢুকে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৪জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ ভবনের ভেতরে কয়েকটি কুকুর দলবদ্ধভাবে শুয়ে থাকে। প্রায় সময় কাউকে দেখলেই ঘেউ ঘেউ শুরু করে দেয়। এতে করে সাধারণ মানুষ ও নারী-শিশুরা আতঙ্কে থাকেন।

জহিরুল ইসলাম ডিকো নামের এক হকার জানান, “পত্রিকা দেয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে ডোমার উপজেলা পরিষদে এসে দেখি কুকুরগুলো এভাবেই সুয়ে থাকি। অনেক সময় কুকুর দেখে মহিলা ও বাচ্চারা ভয়ে ভিতরে ঢুকতে পারেনা।”

শুধু উপজেলা পরিষদ চত্বরে নয় শহর জুড়ে বেড়েছে কুকুরের উৎপাত। স্থানীয়রা জানান, প্রধান সড়ক, স্কুল ও কলেজের সামনে বিশেষ করে পৌর এলাকায় কুকুরদের উৎপাত অনেক বেড়েছে। রাতের বেলা ও খুব সকালে একা কাউকে পেলে কুকুর আক্রমন করে।

মিম নামের স্কুল শিক্ষার্থী জানান, ইদানিং শহরের বিভিন্ন জায়গায় কুকুরের উৎপাত খুব‌ই বেড়ে গিয়েছে। স্কুলে যাওয়ার সময় বিভিন্ন জায়গায় কুকুরের দল থাকে। ভয়ে একাই যেতে পারি না। আবার অনেক সময় হাতে খাবার থাকলে কুকুররা আক্রমণ করে। তখন ভয়ে খাবার ফেলে পালাতে হয়। এমনকি একদিন আমার একজন বন্ধুকে কুকুর কামড় দিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাহমুদ নামের আরেক স্কুল ছাত্র জানায়, আমাদের খেলার মাঠে এখন ১৫-২০ টা কুকুর দল বেঁধে থাকে। খেলার সময় আমার একজন বন্ধু কে কামড় দেয়। এজন্য আমরা খেলতে পারি না। ফলে এখন খেলাধুলা থেকে আমাদের দূরে থাকতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, “কুকুর সমস্যাটি আমরা অবগত আছি। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”

You may also like

Leave a Comment