জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও জমিয়ত স্বাধীনতাকামী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। বাংলাদেশের কোনো মায়ের সন্তান জমিয়তকে তকমা দিয়ে কালারিং করার সাহস দেখাতে পারবে না। আজকে ইতিহাস চুরি করা হচ্ছে, যারা ইতিহাস চুরি করে তারাই সবচেয়ে বড় চোর এবং তথ্য সন্ত্রাসী।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নীলফামারীর ডোমার নাট্য সমিতি মিলনায়তনে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ডোমার উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি হাফেজ ছফিয়ার রহমান।

কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, “এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। জাতিসংঘ যখন ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের কান্ট্রি অফিস খুলেছিল, তখন দেশব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে সর্বপ্রথম আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। যদি ইসলামী রাজনীতির অর্থ হয় আমেরিকার খুশি করার জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা না বলা, তাহলে সেই পচা ও দুর্গন্ধময় রাজনীতি আমরা করি না।”
তিনি আরও বলেন, “১০৬ বছরের সংগঠনকে আজ যারা রাজনীতি শেখাতে আসে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও কৌশল আমাদের মতো করেই ঠিক করবো। অন্য কারও এতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। ফ্যাসিবাদের আমলে আমাদের সোনালী ইতিহাস পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল, আমরা তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ইনশাআল্লাহ সেই ইতিহাস আবারও ফিরে আসবে।”
মহান মুক্তিযুদ্ধে জমিয়তের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীনতাকামীদের পাশে থেকে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছি। স্বাধীনতার পর আমাদের দলের প্রবীণ নেতাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস কখনো চুরি করা যায় না—যারা চুরি করতে চায় তারাই আসল চোর।” তিনি আরও দাবি করেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনেও জমিয়ত সামনের সারিতে ছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নীলফামারী জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি ও নীলফামারী-৩ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ মঞ্জুর প্রমুখ।
এ সময় ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছাত্র জমিয়তের নীলফামারী জেলা সভাপতি এম. রাজু রুহানী। নতুন কমিটিতে মো. সফিয়ার রহমানকে সভাপতি ও ওয়ায়েজ কুরুনীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের ডোমার উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।