নীলফামারীর ডিমলায় শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের ঘোষিত নতুন কমিটিতে পদ পেয়েছিলেন এক সময়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় তুমুল সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত তাকে অব্যাহতি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রদল।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে কলেজ শাখা ছাত্রদলের নবঘোষিত কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপরই একই দিন বিকেলে নীলফামারী জেলা ছাত্রদল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হাফিজার রহমানকে অব্যাহতি প্রদানের ঘোষণা দেয়।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জাম্মেল হক (মোজাম) স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ১৬ আগস্ট শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ করা হয়। ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে পরিচয় গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো।”
এর আগে ডিমলা উপজেলা ছাত্রদলের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ আগস্ট শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মেহেদী হাসানকে সভাপতি এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা হাফিজার রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
জানা গেছে, হাফিজার রহমান ২০২৩ সালে ৭নং খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হালিমুল হোসেন রাসেল বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পরিচয় গোপন করে ছাত্রদলের কমিটিতে পদ গ্রহণ করায় হাফিজার রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উপজেলা সভাপতি পদ প্রত্যাশী সেলিম ইসলাম সাগরের সুপারিশে জেলা ছাত্রদলের নেতারা এ কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।”
ছাত্রদল নেতা সেলিম ইসলাম সাগর অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। হাফিজার রহমান ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন এ বিষয়টি তার জানা ছিল না। কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারেও তিনি কোনো সুপারিশ করেননি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে জেলা নেতৃবৃন্দ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হাফিজার রহমানকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে হাফিজার রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।