‘দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও জুলুমকারীদের পতন’ প্রসঙ্গে খুতবা দেয়ায় ঈমামকে বরখাস্ত

✒️ নিজস্ব প্রতিবেদক:

by Newsroom

 

গত ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজে খুতবার সময় ‘জুলুমকারীদের পতন’ ও ‘দ্বীন প্রতিষ্ঠা’ প্রসঙ্গ টেনে আলোচনার অভিযোগে ঈমাম মাওলানা মনিরুজ্জামান আঙ্গুর নামের এক ইমামকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ওকরাবাড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটি।

বুধবার (২৮মে) দুপুরে বরখাস্তের খবরটি জানতে পারেন মাওলানা মনিরুজ্জামান আংগুর। তিনি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উত্তর আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং ইসলামী ফাউন্ডেশনের শিক্ষক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইমামতি করে আসছেন এবং ইসলামীক বক্তা হিসেবেও পরিচিত।

ঘটনার বিষয়ে মাওলানা মনিরুজ্জামান আংগুর বলেন, “গত ঈদে খুতবার সময় ‘দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং জুলুমকারীদের পতন’ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করেছিলাম। এর পরপরই এলাকায় রাজনৈতিক পক্ষ—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। পরে ঈদগাহ কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়, আর ঈদের নামাজে ইমামতি করতে পারব না। ঈদ ঘনিয়ে আসায় হঠাৎ এমন খবরে আমি মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছি।”

ওকরাবাড়ি এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা শাহিনুর রহমান বলেন, “আমার মতে হুজুরের আলোচনায় কোনো ত্রুটি ছিলো না। এরপরেও অনেকে খুতবার বিষয়বস্তু নিয়ে এলাকায় বিতর্ক শুরু করে। এরপর ময়দান কমিটি তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় এবং নতুন ঈমাম নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।”

ঘটনার পরপরই কমিটির পক্ষ থেকে অন্য একজন ইসলামিক বক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বোদা উপজেলার মাওলানা আবু সাঈদ জানান, “গত রাতে ওকরাবাড়ি এলাকার একজন ব্যক্তি আমাকে ফোন করে ঈদের নামাজ পড়ানোর প্রস্তাব দেন। কথার একপর্যায়ে জানায়, আগের ঈমাম ‘জালিমদের পতন’ নিয়ে কথা বলায় তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে ওকরাবাড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের সাধারণ সম্পাদক এবং দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “মনিরুজ্জামান আঙ্গুর হুজুরের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। তবে ঈদগাহ ও মসজিদ কমিটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন রয়েছেন। কমিটির কয়েকজনের আপত্তির কারণে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।”

You may also like

Leave a Comment