নীলফামারী সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলার সর্বস্তরের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় নীলফামারী শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে স্থানীয় জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা। ‘নীলফামারীর সর্বস্তরের জনগণ ও শিক্ষার্থীরা’ ব্যানারে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শহরজুড়ে মানববন্ধনের ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আন্দোলনের পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং অনেকে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
মানববন্ধন কর্মসূচির অন্যতম সংগঠক কাজল বলেন, “সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি জানিয়েছেন। আমরা নীলফামারীর মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য রাস্তায় নামতে প্রস্তুত।”
আয়োজকদের দাবি, নীলফামারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ষড়যন্ত্র তারা মেনে নেবেন না। এটি নীলফামারীবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন, এবং এটি বন্ধ করে দেওয়া বা অন্য জেলায় স্থানান্তরের চেষ্টা করা হলে তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস ও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে নীলফামারীর জনগণ চিকিৎসা ও শিক্ষার পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট নীলফামারী মেডিকেল কলেজসহ চারটি নতুন মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয় সরকার। পরে ৩০ আগস্ট নীলফামারী মেডিকেল কলেজ পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায়।
২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান খুলনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম শাহ। এরপর ১৫ অক্টোবর প্রথম ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী ডায়াবেটিকস হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।
কিন্তু এখন কলেজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা নীলফামারী মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করবেন না এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিতে পিছপা হবেন না।