কিশোরগঞ্জে স্কুলের ইট বিক্রি: প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি

✒️ নিজস্ব প্রতিবেদক:

by Newsroom

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবনীর বিরুদ্ধে স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনের ইট বিক্রির অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এতে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ১৯ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়াই গোপনে ক্লাস্টার অফিসার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন হেলালকে ম্যানেজ করে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে ইট বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষিকা। ২০ জুন রাতে ট্রলিতে ইট সরিয়ে নেওয়ার সময় এলাকাবাসী তা আটক করে পুলিশে খবর দেন।

গত ২১ জুন পুলিশ ও সহকারী শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ফিরে যান। পরদিন ২২ জুন এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দেন ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

অভিযোগের পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ডা. মাহমুদা খাতুন মৌখিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এটি লোক দেখানো এবং ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা। তদন্ত কমিটি রবিবার বিদ্যালয়ে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তারা ফিরে আসেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারুক হেলাল ফোন রিসিভ করলেও ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, চার সদস্যের একটি কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী ভবন ভাঙা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, “রেজুলেশন দেখিয়ে ভবন ভাঙা যায় না। এজন্য ইউএনও ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন এবং নিলাম প্রক্রিয়া আবশ্যক। নিয়ম লঙ্ঘন হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

You may also like

Leave a Comment