নীলফামারী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন মাঠে চীনের উপহারে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নীলফামারীর টেক্সটাইল মিল মাঠ সংলগ্ন সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নীলফামারী জেলা সভাপতি আ. খ. ম আলমগীর সরকার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার নায়েবে আমীর অধ্যাপক ড. খায়রুল আনাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
স্থানীয় বাসিন্দা হামিদার রহমান বলেন, “রংপুর বিভাগে এত বড় খাস জায়গা আর কোথাও নেই। টেক্সটাইল মিল মাঠ থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের দূরত্ব মাত্র ১৩-১৪ কিলোমিটার। ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে স্টেশন এবং সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতসব সুবিধা থাকার পরও এখানে হাসপাতাল স্থাপন না হলে তা হবে বড় বঞ্চনা।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, “নীলফামারী জেলা ভৌগোলিকভাবে প্রায় সকল পার্শ্ববর্তী জেলার মাঝখানে অবস্থিত। এখান থেকে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ অন্যান্য জেলায় যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ। এছাড়া টেক্সটাইল মিল মাঠ সংলগ্ন বিজিবি ক্যাম্প থাকায় নিরাপত্তা নিয়েও কোনো শঙ্কা নেই।”
বক্তারা আরও বলেন, “এই মাঠে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি স্থাপন করা হলে পার্শ্ববর্তী জেলার পাশাপাশি সৈয়দপুর বিমানবন্দর, চিলাহাটি রেল স্টেশন ও স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জোর দাবি জানান, সকল সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে নীলফামারী টেক্সটাইল মিল মাঠেই চীনের উপহারে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার মৈত্রী হাসপাতালটি স্থাপন করতে হবে।