উত্তর অঞ্চল কৃষির মূল উৎস, সারের সাশ্রয়ী ব্যবহারের পরামর্শ কৃষি সচিবের

✒️ নিজস্ব প্রতিবেদক:

by Newsroom

উত্তর অঞ্চল দেশের কৃষির মূল উৎস হিসেবে উল্লেখ করে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশের কৃষিতে ডিএসপি ও ইউরিয়া সারের ব্যবহার বেশি, তাই কৃষকদের সারের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, প্রতি বছর সারে ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভিত্তিবীজ আলু বীজ উৎপাদন খামারে অনুষ্ঠিত “বীজ আলুর গ্রো-আউট পরীক্ষার ফলাফল-২০২৫ পরিদর্শন, মূল্যায়ন ও পোস্ট-হারভেস্ট ভেরিফিকেশন” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, রংপুর অঞ্চল দেশের কৃষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই কৃষি খাত পরিচালিত হয় উল্লেখ করে তিনি মাঠ কর্মকর্তাদের আরও বেশি তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সার সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারের ব্যবহার যথাযথ হতে হবে এবং মাঠ পর্যায় থেকে ফিডব্যাক পাওয়া গেলে এ খাতে আরও উন্নয়ন সম্ভব।

ভালো বীজের গুরুত্ব তুলে ধরে কৃষি সচিব বলেন, “ভালো বীজ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদন ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। বিদেশি বীজের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।”

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির চেয়ারম্যান রুহুল আমিন খান। এতে বিএডিসির ৩২টি জোনের ৩২ জন উপ-পরিচালক, নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম, ডোমার ভিত্তিবীজ আলু বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক মো. আবু তালেব মিয়া এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ কর্মশালাটি বিএডিসির আলু বীজ বিভাগের আয়োজনে “মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্প”-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।

You may also like

Leave a Comment