নীলফামারীতে সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল অব্যাহত

✒️ নিজস্ব প্রতিবেদক:

by Newsroom

ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল এবং চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০১লা এপ্রিল) ঈদের পরের দিনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল, শুটকির মোড় ও পাঁচ মাথা মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল আরোহী, নছিমন, ভটভটি, প্রাইভেট কার ও বাসে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওমর ফারুক নীলফামারীতে এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়া, নীলফামারীর ইপিজেড পয়েন্টে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত রায় এবং সৈয়দপুর পয়েন্টে এসআই সুজন উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান জানান, ঈদ উপলক্ষে নীলফামারীতে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দুষ্কৃতিকারীদের তৎপরতা সীমিত রাখাও এই কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য।”

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গত ২ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভিন্ন ধরনের চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় মোট ২৫২টি মামলায় ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীতে ১৪২টি মামলায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদার জানান, যৌথ বাহিনীর এ কার্যক্রমের ফলে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চেকপোস্ট পরিচালনার মাধ্যমে লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে সন্দেহভাজন যাত্রীদের তল্লাশি চালানো হয়।

জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথ বাহিনীর এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

You may also like

Leave a Comment