নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ডোমার পৌরসভার মডেল স্কুল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সহ আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন ডোমার পৌরসভাধীন মডেল স্কুল পাড়া এলাকার মৃত বাঙ্গুরু মামুদের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৫০)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোড়াগাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডোমার থানা পুলিশ।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, “গতকাল খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বিকেলে আহত সাংবাদিকের ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ডোমার পৌরসভাধীন মডেল স্কুল পাড়ার মশিয়ার রহমানের ছেলে রাসেল একই এলাকার তরিকুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের সংসারে অশান্তি দেখা দেয়।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মশিয়ার ও তার ছেলেরা সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে না চাইলে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরিবারের লোকজন সহ পরকীয়ায় জড়িতরা তাকে খুঁটিতে বেঁধে মুখ চেপে ধরে নির্যাতন চালায়। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাড়াবাড়ি করলে সামাজিক ভাবে দুই পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। দুই পরিবারকে এমন পরামর্শ দেয়ার এক পর্যায়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত নারীর পিতা তরিকুল ও ছেলের পিতা মশিয়ারের পরিবারের লোকজন আমাকে খুঁটিতে বেঁধে ফেলে। এর পর মুখ বেঁধে নির্যাতন শুরু করে। এ সময় সাংবাদিকের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় তারা। টানা দুই ঘণ্টা নির্যাতনের ফলে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়ে সাংবাদিক রাজা। ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসী পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।